কোয়ালিটি: প্রিমিয়াম (ফ্রুট ব্যাগিং)
সাইজ: ৪-৫ টায় কেজি
আম সংগ্রহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্যাকিং:স্মার্ট প্যাকিং
জেলা সদরে হোম ডেলিভারি ও থানা পর্যায়ে কুরিয়ার এর অফিস ডেলিভারি হবে
অর্ডার করার পুর্বে বিস্তারিত জেনে নিতে চাইলে কল করুন 01714559697 (WhatsApp) নম্বরে ।
আমের বিবরণঃ
বাংলাদেশে যত আম পাওয়া যায়, হাড়িভাঙ্গা হল নতুন ধরনের আম। এই আমটি স্বাদে ও গন্ধে অন্যরকম। এই গাছের বৈশিষ্ট্য অন্যরকম। এর ডগা পুষ্ট। এই গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে যদি ডালে জোর কলম লাগানো হয়। অল্প দিনেই গাছের ডালপালা বৃদ্ধি পায়। চারা রোপণ করার পরের বছর গাছে মুকুল দেখা দেয়। কিন্তু অনেকেই প্রথম বছর মুকুল ভেঙ্গে দেয়। কারন এর ফলে গাছের ডগার সংখ্যা বাড়ে। এছাড়া বলিষ্ঠ হয়। এই গাছ সাধারনত উপরে বাড়েনা। কিন্তু চারপাশ দিয়ে অনেক বৃদ্ধি হয়। ফলে গাছের উচ্চতা কম থাকে। এর সুবিধা হল, ঝড়ে গাছ উল্টিয়ে পড়ার সুযোগ কম থাকে। আবার আমও কম ঝরে পরে।
হাড়িভাঙ্গা আম দেখতে উপরে মোটা। আর নিচের দিকে চিকন। এর শাস গোলাকার ও একটু লম্বাটে। এছাড়া দেখতেও সুঠাম দেহ ও মাংসালো আঁশ বিহীন আম এটি। ভিতরে শাস ছোট। অন্যান্য আমের থেকে এর ওজন বেশি। সাধারণত গড়ে তিনটি আমে এক কেজি হয়। অনেক সময় একটি আম ৫০০/৭০০ কেজি হতে পারে। পাকা আম অনেকদিন অটুট থাকে। সহজে পচেনা। চামড়া কুঁচকে গেলেও ভিতরে ভাল থাকে। আম খুব বেশি না পাকালেই মজা লাগে।
রংপুরের মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জে বেশি চাষ হয় এই আম। সাধারণত মাঘ-ফাল্গুন মাসে ফুল আসে গাছে। আর আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে। এই আম কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়।
বাংলাদেশে অনেক প্রজাতির আম আছে। সবগুলোই স্বাদে ভিন্ন। একেক এলাকা একেক আমের জন্য বিখ্যাত। তেমনি রংপুর হল এই হাড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত। গাছের চারা কিনে বাণিজ্যিকভাবে এই আমের চাষ করে আগ্রহী যে কেউ লাভবান হতে পারেন।
হাড়িভাঙ্গা আম রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে মহৌষধ। কচি পাতার রস দাঁতের ব্যাথা উপশমকারী। আমের শুকনো মুকুল পাতলা পায়খানা, পুরনো আমাশয় এবং প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা উপশম করে।
ঐতিহ্যের পণ্য দিচ্ছে আপনাকে শতভাগ কেমিক্যাল ও ফরমালিন মুক্ত আম সরাসরি আমবাগান থেকে, যা আপনি আপনার পরিবারের সাথে নির্ভয়ে খেতে পারবেন।