সরিষা ফুলের প্রাকৃতিক RAW মধুর ৬ টি বৈশিষ্ট্যঃ (মধু কেনার আগে অবশ্যই এই তথ্য গুলো জেনে নেওয়া উচিত)
টাটকা মধু দেখতে সাধারণত Extra Light Amber রঙের হয়। তবে কিছু দিন পরে জমে যাওয়ার ফলে সাদা রঙের হয়ে যায়।
সরিষার জমা মধু কারো কাছে অত্যান্ত পছন্দের আবার কারো কাছে অপছন্দের।
ঘ্রাণ অনেকটা সরিষার ফুলের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
মধুর ঘনত্ব কম বা বেশি হতে পারে।
মধু পাতলা হলে ফেনা হতে দেখা যায়। আর ঘনত্ব বেশি হলেও সরিষা মধুতে অনেক সময় সামান্য ফেনা হতে পারে।
সরিষা ফুলের মধু ঘন হোক বা পাতলা হক- এটা সারা বছরই জমে থাকে। ঘন-পাতলা এবং তাপমাত্রার উপরে নির্ভর করে সম্পূর্ণ মধু বা বেশীরভাগ মধু জমে সাদা হয়ে থাকে। যেটা একেবারে ক্রিম এর মতো দেখা যায়।
কোয়ালিটি: প্রিমিয়াম
মূল্যঃ ৫৫০ টাকা কেজি।
পরিমাণঃ ৫০০ গ্রাম থেকে যে কোন পরিমান।
সংগ্রহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্যাকিং: স্মার্ট প্যাকিং
জেলা সদরে হোম ডেলিভারি ও থানা পর্যায়ে কুরিয়ার এর অফিস ডেলিভারি হবে।
অর্ডার করার পুর্বে বিস্তারিত জেনে নিতে চাইলে কল করুন 01714559697 (WhatsApp) নম্বরে ।
সরিষা ফুলের মধুর বিবরণঃ
মধু, একটি বহুমুখী এবং প্রাকৃতিক মিষ্টি, শুধুমাত্র খাবারে স্বাদ যোগ করে না বরং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধাও প্রদান করে। খাঁটি, উচ্চ-মানের মধু বেছে নেওয়াই নিশ্চিত করে যে আপনি এর সম্পূর্ণ পুষ্টির সুবিধা উপভোগ করছেন।
সরিষা ফুলের নেক্টার থেকে তৈরি সরিষা ফুলের মধু সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। সরিষা প্রায় ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয় এবং প্রধানভাবে উত্তরাঞ্চলে জয়পুরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলায় এটি প্রসারিত আছে। মধু পাতলা হলে ফেনা দেখা যায়, এবং ঘনত্ব বেশি হলেও সময়ের সাথে সাথে সাদা হয়ে যায়। এটি সারা বছর জমে থাকে। সুমিষ্ট ও সরিষার ঝাঁঝালো ঘ্রাণের জন্য পরিচিত।
মধুর উপকারিতাঃ
মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপ্টিক গুণের সাথে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে বিভিন্ন রোগাদি বা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে মধু কাজ করে এবং এর সেবনে শরীরের কোলেস্টেরল নির্মূল হয়।
মধু শারীরিক এনার্জির এক ভাল উৎস হিসেবে কাজ করে, যা দীর্ঘকালিক শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর মধু মৌমাছি থেকে প্রাপ্ত এন্জাইম সরবরাহ করে, যা শরীরে সঠিক পাচনে সাহায্য করে।
মধু সম্প্রদায় হৃদয়ের পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং হৃদ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত মধু সেবন করলে শরীরের রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
মধু তার নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি গলা ব্যথা প্রশমিত করতে, কাশি উপশম করতে এবং ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে।
মধু কিন্তু মধুই আপনি যে মধুই গ্রহণ করেন না কেন। স্বাদে বা ঘ্রাণে ভিন্ন হলেও সব ধরণরে মধুই প্রায় সমান পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।
আপনি অনেক ভাবেই মধু খেতে পারবেন।
রোজ সকালে কুসুম গরম পানিতে ১/২ চামচ মধু দিয়ে তাতে সামান্য লেবু রস দিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন। এতে মধুতে থাকা পুষ্টিগুণ আপনার শরীর ভালো করে শোষণ করতে পারবে।
রাতে ঘুমানোর পূর্বে মধু আপনার ভালো ঘুমের সহায়ক হবে। পরিমিত পরিমাণে মধু সেবন আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যারা ওজন কমানোর জন্য দীর্ঘ দিন থেকে চেষ্টা করতেছেন তারা চা বা কফিতে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন, এতে অল্প দিনেই পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।
এছাড়াও এক চা চামচ আদার রস এবং এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে ও সন্ধেবেলা খেলে সর্দি সেরে যায় ও খিদে বৃদ্ধিপায়। আবার হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিবার ভারি খাবার খাওয়ার আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিতে পারেন।
বর্তমান সময়ে আমরা সবাই কমবেশি জানি যে মধুতে ভেজাল করা হয়। আর এই ভেজালের সময়ে খাটি মধু চাইলে হাতের কাছে আমাদের থেকেই পেয়ে যাচ্ছেন বিশ্বত মৌয়ালদের থেকে সংগ্রহ করা ১০০% গ্যারন্টিসহ বিভিন্ন ফুলের মধু।
বাংলাদেশে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের সময় সাধারণত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। মাঠে যখন প্রচুর পরিমাণে সরিষা ফুল ফুটতে শুরু করে তখন মৌ চাষিরা তাদের মৌ বাক্স গুলো সরিষার ক্ষেতের পাশে স্থাপন করে। তারপর ফুল বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথেই মৌমাছিরা ওই এলাকা থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের মৌ বাক্সে জমা রাখে। এভাবেই তৈরি হয় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সরিষা ফুলের খাঁটি মধু (জমা মধু)।