কালোজিরা ফুলের প্রাকৃতিক RAW মধুর ৬ টি বৈশিষ্ট্যঃ (মধু কেনার আগে অবশ্যই এই তথ্য গুলো জেনে নেওয়া উচিত)
দেখতে কালচে রঙের হয়।
খেতে একেবারে খেজুরের গুড়ের মত স্বাদ লাগে।
ঘ্রাণ টাও খেজুরের গুড়ের সাথে মিলে যায়।
মধুর ঘনত্ব কম বা বেশি হতে পারে।
মধু পাতলা হলে ফেনা হতে দেখা যায়। আর ঘনত্ব বেশি হলে ফেনা হতে দেখা যায় না।
সাধারণত কালোজিরা ফুলের খাটি মধু জমে যেতে দেখা যায় না। তবে ধনিয়া ফুল সহ অন্যান্য ফুলের মধুর মিশ্রনের ফলে অনেক সময় সামান্য জমতে দেখা যায়।
কোয়ালিটি: প্রিমিয়াম
মূল্যঃ ১২৫০ টাকা কেজি।
পরিমাণঃ ৫০০ গ্রাম থেকে যে কোন পরিমান।
সংগ্রহ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্যাকিং: স্মার্ট প্যাকিং
জেলা সদরে হোম ডেলিভারি ও থানা পর্যায়ে কুরিয়ার এর অফিস ডেলিভারি হবে।
অর্ডার করার পুর্বে বিস্তারিত জেনে নিতে চাইলে কল করুন 01714559697 (WhatsApp) নম্বরে ।
কালোজিরা ফুলের মধুর বিবরণঃ
মধু, একটি বহুমুখী এবং প্রাকৃতিক মিষ্টি, শুধুমাত্র খাবারে স্বাদ যোগ করে না বরং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধাও প্রদান করে। খাঁটি, উচ্চ-মানের মধু বেছে নেওয়াই নিশ্চিত করে যে আপনি এর সম্পূর্ণ পুষ্টির সুবিধা উপভোগ করছেন।
কালোজিরা ফুলের মধু । একটি অদ্ভুত প্রকৃতির উপহার। স্বাদে তা খেজুর গুড়ের মতো, গন্ধ, আকর্ষণীয়, এবং রং কালো কালো টাইপের। এর সাথে ১৮-২৫% জলীয় উপাদান থাকে।জলীয় উপাদান যত কম হবে মধু তত ঘন হবে।
মধুর উপকারিতাঃ
মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপ্টিক গুণের সাথে সমৃদ্ধ, যা শরীরকে বিভিন্ন রোগাদি বা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে মধু কাজ করে এবং এর সেবনে শরীরের কোলেস্টেরল নির্মূল হয়।
মধু শারীরিক এনার্জির এক ভাল উৎস হিসেবে কাজ করে, যা দীর্ঘকালিক শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর মধু মৌমাছি থেকে প্রাপ্ত এন্জাইম সরবরাহ করে, যা শরীরে সঠিক পাচনে সাহায্য করে।
মধু সম্প্রদায় হৃদয়ের পরিস্থিতি উন্নত করতে এবং হৃদ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত মধু সেবন করলে শরীরের রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।
মধু তার নিরাময় বৈশিষ্ট্যের জন্য শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি গলা ব্যথা প্রশমিত করতে, কাশি উপশম করতে এবং ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে।
মধু কিন্তু মধুই আপনি যে মধুই গ্রহণ করেন না কেন। স্বাদে বা ঘ্রাণে ভিন্ন হলেও সব ধরণরে মধুই প্রায় সমান পুষ্টিগুণ সম্পন্ন।
আপনি অনেক ভাবেই মধু খেতে পারবেন।
রোজ সকালে কুসুম গরম পানিতে ১/২ চামচ মধু দিয়ে তাতে সামান্য লেবু রস দিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন। এতে মধুতে থাকা পুষ্টিগুণ আপনার শরীর ভালো করে শোষণ করতে পারবে।
রাতে ঘুমানোর পূর্বে মধু আপনার ভালো ঘুমের সহায়ক হবে। পরিমিত পরিমাণে মধু সেবন আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যারা ওজন কমানোর জন্য দীর্ঘ দিন থেকে চেষ্টা করতেছেন তারা চা বা কফিতে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন, এতে অল্প দিনেই পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।
এছাড়াও এক চা চামচ আদার রস এবং এক চা চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে ও সন্ধেবেলা খেলে সর্দি সেরে যায় ও খিদে বৃদ্ধিপায়। আবার হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিবার ভারি খাবার খাওয়ার আগে এক চামচ মধু খেয়ে নিতে পারেন।
বর্তমান সময়ে আমরা সবাই কমবেশি জানি যে মধুতে ভেজাল করা হয়। আর এই ভেজালের সময়ে খাটি মধু চাইলে হাতের কাছে আমাদের থেকেই পেয়ে যাচ্ছেন বিশ্বত মৌয়ালদের থেকে সংগ্রহ করা ১০০% গ্যারন্টিসহ বিভিন্ন ফুলের মধু।
কালোজিরা ফুলের মধু কখন এবং কিভাবে সংগ্রহ করা হয়?
বাংলাদেশে কালোজিরা ফুলের মধু সংগ্রহের সময় সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসে। মাঠে যখন প্রচুর পরিমাণে কালোজিরা ফুল ফুটতে শুরু করে, তখন মৌ চাষিরা তাদের মৌ বাক্স গুলো কালোজিরার বিশাল বড় ক্ষেতের পাশে স্থাপন করে। তারপর ফুল বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথেই মৌমাছিরা ওই এলাকা থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদের মৌ বাক্সে জমা রাখে। এভাবেই তৈরি হয় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কালোজিরা ফুলের খাঁটি মধু।
Raw Honey এবং Processing Honey কাকে বলে?
মৌমাছি যে মধু তৈরি করে মৌচাকে জমা করে, সেই মধুই হচ্ছে কাঁচা মধু বা ‘র হানি’। সেটা গ্রাম গঞ্জের হাতে চাক কাটা মধু হোক বা বাক্সের ভেতরে পোষা মৌমাছি দিয়ে উৎপাদিত মধু হোক। এই দুই প্রকার মৌমাছিই যদি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে, তাহলে এই দুই প্রকার মধুই ভালো মধু, খাঁটি মধু। বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ মধু প্রক্রিয়াজাত মধু বা Processing Honey। কাঁচা মধু এবং প্রক্রিয়াজাত মধু , এই দুই মধুর মধ্যে স্পষ্ট অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রক্রিয়াজাত করা হয় মধু গরম করার মাধ্যমে। আর মধু গরম করলে মধুর অনেক উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায় এবং অনেক সময় ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে ভালো মানের Raw Honey বা কাঁচা মধু খাওয়ার জন্য।
কালোজিরা ফুলের প্রাকৃতিক Raw মধুতে অনেক সময় ঝাঁকি লাগলে ফেনা হতে দেখা যায় ও সম্পূর্ণ মধু সাদা রঙের হয়ে যেতে পারে। যা দেখে একজন সাধারণ মধু ক্রেতা, মধু খাঁটি হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেন। কিন্তু এই সন্দেহ টি একেবারেই সঠিক নয়। নিচে তার Scientific ব্যাখ্যা দেওয়া হলঃ
কালোজিরা ফুলের প্রাকৃতিক Raw মধুতে অ্যাক্টিভ এনজাইম, প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। এবং মধু একটি কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ যাতে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ থাকে। আর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ- কার্বন, অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের সমন্বয়ে গঠিত। এ জন্য কালোজিরা ফুলের প্রাকৃতিক Raw মধুতে যদি ময়েশ্চারের পরিমাণ বেশি থাকে, অর্থাৎ মধুর ঘনত্ব কম হয় বা মধু পাতলা হয় এবং মধু যদি ঝাঁকি লাগে, তখন মধুর মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড তৈরি করে। এতে মধুর মধ্যে বায়ু বুদবুদ সৃষ্টি হয় এবং একই সাথে মধু ফেনা হতে দেখা যায় ও পাত্রের ভেতরে গ্যাস হতে পারে, যার ফলে প্ল্যাস্টিক এর বোতল কিছুটা ফুলে যেতে পারে। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- ফেনা কম বা বেশি হবে ময়েশ্চারের পরিমাণ কম-বেশির কারনে। তবে মধু যদি খুবই ঘন হয় অর্থাৎ ময়েশ্চারের পরিমাণ কম থাকে তাহলে ফেনা হবে না। মধুতে ফেনা তৈরি হলে সেটাকে কিছুক্ষণ স্থিরভাবে রেখে দিলে আবার সেই ফেনা মধুতে পরিণত হবে। এতে মধুতে কোন ক্ষতি বা সমস্যা হবে না।