আখের গুড় এর স্বাস্থ্য উপকারিতা:
আখের গুড় স্বাস্থ্যকর একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি, যা বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ভিটামিনের পাশাপাশি থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরের শক্তি যোগায়। আখের গুড় খেলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হয়।
১. রক্তশূন্যতা দূর করে
আখের গুড় আয়রনের একটি প্রাকৃতিক উৎস। আয়রন হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করে, যা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে। বিশেষত রক্তশূন্যতা দূর করতে আখের গুড় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। যাঁরা আয়রনের অভাবজনিত সমস্যা ভোগেন, তাঁদের জন্য এটি একটি উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
আখের গুড়ে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকাল দূর করে এবং ত্বককে সজীব রাখে। নিয়মিত আখের গুড় খেলে সর্দি-কাশি ও অন্যান্য মৌসুমি অসুখ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি
আখের গুড়ে প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি পেটের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। খাবারের পরে কিছু পরিমাণ গুড় খেলে হজমশক্তি ভালো থাকে এবং গ্যাস্ট্রিক দূর হয়।
৪. শরীরকে ডিটক্সিফাই করে
আখের গুড় প্রাকৃতিকভাবে শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। এটি লিভারকে পরিষ্কার রাখে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত গুড় খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকে।
৫. শক্তি বৃদ্ধি করে
আখের গুড়ে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, যা শরীরকে দ্রুত শক্তি জোগায়। ব্যায়াম বা ভারী কাজের পর কিছু পরিমাণ গুড় খেলে শরীরে শক্তি ফিরে আসে এবং ক্লান্তি দূর হয়। এটি শরীরে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি জোগায়, যা অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মিষ্টির তুলনায় অনেক ভালো।
৬. হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী
আখের গুড়ে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো খনিজ থাকে, যা হাড়ের গঠন ও মজবুতিতে সাহায্য করে। এটি হাড় ও দাঁতের জন্য বিশেষ উপকারী, বিশেষত বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য।
৭. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
আখের গুড়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত আখের গুড় খেলে ত্বকের বলিরেখা কমে এবং ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়। গুড়ে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ ও দীপ্তিমান রাখে।
ঐতিহ্যের পণ্য অনলাইন থেকে aআঁঁখের গুড় কেন নিবেন?
আমরা দিচ্ছি খাটি আঁখের গুড়ের নিশ্চয়তা। এই আঁখের গুড় একদম কৃষক পর্যায় থেকে আপনাদের কাছে বাসায় পৌঁছে দিয়ে থাকি।
আমাদের খাটি আঁখের গুড় ক্ষতিকর কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না।
সম্পূর্ন নিজেদের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত করা হয়।
আঁখের রস গুলো ভালো করে ছেঁকে এরপর পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে গুড় তৈরি করা হয়।
সঠিকমাত্রায় জ্বাল দিয়ে প্রস্তুত করা হয় বলে পুষ্টিগুন বজায় থাকে
কৃত্রিম চিনি, রাসায়নিক রঙ, হাইড্রোজ, ফিটকিরি সহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় নি। তাই ১০০ ভাগ খাঁটি ও প্রাকৃতিক।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গুড় প্রস্তুত করা হয় বলে ১০০% স্বাস্থ্যসম্মত।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পাত্রে তৈরি করে ভালো করে প্যাকেজিং করে কুরিয়ারে পাঠানো হয়। যেন গুড়ের মান ঠিক থাকে ও গুড় গুলো অক্ষত অবস্থায় হাতে পান।
খাঁটি গুড় চেনার উপায়?
রঙ দেখে নয়, বরং এর স্বাদ ও কাঠামো দেখে আপনি খাঁটি গুড় চিনতে পারবেন ৷ চলুন জেনে নিই কীভাবে।
খাঁটি আখের গুড়ে কোনো তিতা ভাব থাকবে না। দোকানি যা ই বলুক না কেন, খাঁটি গুড়ের স্বাদ সবসময় মিষ্টি হয়৷
গুড়ে নোনতা ভাব থাকলে বুঝবেন তাতে নিশ্চয় কিছু মেশানো হয়েছে। খাঁটি আখের গুড়ের স্বাদ মিষ্টি ব্যতীত অন্যকিছু হয় না।
চকচক করলেই সোনা হয় না। গুড়ের ক্ষেত্রে প্রবাদটি একদম যুক্তিযুক্ত। অতিরিক্ত চিনি বা হাইড্রোজ রাসায়নিক দিয়ে বানানো গুড় দেখতে সোনালি ও চকচকে রঙ ধারণ করে।
পুরনো ও ভেজাল গুড়ের স্বাদ নোনতা হয় এবং অতিরিক্ত জ্বাল দেওয়ার ফলে তিতা ভাব লাগে।
কেনার সময় একটু চেখে নিলে যদি স্বাদ নোনতা থাকে তাহলে তাতে কিছু মেশানো হয়েছে। আর এই ধরনের গুড় যত পুরনো হবে লবণের মাত্রার স্বাদও তত বেশি মনে হবে। যদি স্বাদ একটু তেতো হয় তাহলে বেশি ফাটানো হয়ে গেছে গুড়। তাতে মেশানো রয়েছে অন্যান্য শর্করা। কেনার সময় ভালো করে দেখবেন যে, তার কিছু অংশ স্ফটিকের মতো কিনা। যদি গুড় এর মধ্যে ফটিকের মত কোন অংশে থাকে তাহলে বুঝতে হবে গুড়ে মিষ্টি বাড়ানোর জন্য কিছু মেশানো হয়েছে।
গুড় কেনার সময় গুড়ের দুই ধার পরখ করবেন। যদি নরম হয়, তাহলে বুঝবেন গুড়টা ভালো।
গুড়ের মাঝের অংশ হতে হবে স্পাত কঠিন। মাঝের অংশ নরম হলে বুঝবেন এতে ভেজাল আছে।